অপরের ভুল থেকে নিজে শিক্ষা নাও। কারণ, সবকিছু নিজের উপর প্রয়োগ করে শিখতে চাইলে তোমার আয়ু কম পড়বে।
কোনো ব্যক্তির খুব বেশী সহজ-সরল হওয়া উচিৎ নয়। কারণ, সোজা গাছ এবং সোজা মানুষদের প্রথমে কাটা হয়।
যদি কোনো সাপ বিষধর নাও হয়, তবুও তার উচিৎ বিষধর হওয়ার ভান করা— এমনভাবে, যেন মনে হয় সে ইচ্ছা করলেই বিষাক্ত দংশন করতে পারে। একই ভাবে দূর্বল ব্যক্তিদেরও সবসময় নিজেদের দূর্বলতাগুলি লুকিয়ে রাখা উচিৎ, যেন অপরে তার আভাষমাত্র না পায়।
ভূতের কাহিনী । Horror Story
প্রত্যেক মিত্রতার পেছনে কোনো না কোনো স্বার্থ অবশ্যই থাকে। এটা একটা কটূ সত্য।
কোনো কাজ শুরু করার আগে সর্বদা নিজেকে এই তিনটি প্রশ্ন করবে :-
আমি এটা কেন করতে চলেছি ?
এর পরিনাম কী হতে পারে ?
আমার সফলতার সম্ভাবনা কতটা ?
যদি ঐ প্রশ্নগুলির সন্তোষজনক উত্তর পেয়ে যাও, তবেই কাজ শুরু কর।
একবার কোনো কাজ শুরু করার পর আর অসফল হওয়ার ভয় রাখবে না, এবং কাজ ছাড়বে না। যারা নিষ্ঠার সাথে কাজ করে তারাই সবচেয়ে সুখী।
সবচেয়ে বড় গুরুমন্ত্র হল, কখনও নিজের গোপন বিষয় অপরকে জানাবে না, এটা তোমাকে ধ্বংস করে দেবে।
কোনো কাজ কালের জন্য ফেলে রাখা উচিৎ নয়। পরের মূহুর্তে কী ঘটতে চলেছে তা কে বলতে পারে?।
যা ঘটে গেছে তা ঘটে গেছে। যে সময় অতীত হয়েছে সেটা নিয়ে ভেবে অনুশোচনা করে সময় নষ্ট করা অর্থহীন। যদি তোমার দ্বারা কোনো ত্রুটি হয়ে থাকে, তবে তা থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমানকে শ্রেষ্ঠ করার চেষ্টা করা উচিৎ। যাতে ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত রাখা যায়।
কোনো দূর্বল ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের সাথে শত্রুতা করা আরও বেশী বিপদের। কারণ, সে এমন সময় এবং এমন জায়গায় আঘাত করতে পারে যেটার আমরা কল্পনাও করিনি।
অহংকারের মতো শত্রু নেই। সর্বদা নশ্বরতার কথা মনে রাখবে।
একটি দোষ অনেক গুণকেও গ্রাস করে।
ইন্দ্রিয়গুলিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখ। ইন্দ্রিয়ের যে অধীন, তার চতুরঙ্গ সেনা থাকলেও সে বিনষ্ট হয়।
সর্বদা চুপচাপ এবং গুপ্তরূপে কাজ করা উচিৎ।
যে ব্যক্তি নিশ্চিতকে ছেড়ে অনিশ্চিতের দিকে ধাবিত হয়, তার উভয়ই নষ্ট হয়।
অতি সুন্দরতার কারণে সীতার হরণ হয়েছিল, অতি গর্বের কারণে রাবণের পতন হল, এবং অতি দানী হওয়ার জন্য বলিকে পাতালে যেতে হয়েছিল। সুতরাং অতি” কে সর্বদা ত্যাগ করা উচিৎ।।
ভয়কে কেবল ততক্ষণ ভয় কর, যতক্ষণ সেটা তোমার থেকে দূরে আছে।
তোমার প্রতিবন্ধকতাকে (বাধা) তোমারই পক্ষে কাজে লাগাও। যদি তুমি অবস্থাকে নিজের পক্ষে আনতে না পার, তবে শত্রুদের জন্য তা জটিল করে দাও।
অন্যদের ভুল থেকে শিক্ষাগ্রহণ করো এবং সেইরকম মানুষ হয়ে যাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখো যাদের ভুলগুলো থেকে অন্যেরা শিক্ষাগ্রহণ করে।
সৎ উপদেশকে আর্থিক মূল্যে মূল্যায়ন করা যায় না।
সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কেউ মিথ্যা বলতে পারে না। মিথ্যা বলতে হয় অন্যদিকে তাকিয়ে!।
বাঙালি একশো ভাগ সৎ হবে, এমন আশা করা অন্যায়। পঞ্চাশ ভাগ সৎ হ’লেই বাঙালিকে পুরস্কার দেয়া উচিত।
যতোদিন মানুষ অসৎ থাকে, ততোদিন তার কোনো শত্রু থাকে না; কিন্তু যেই সে সৎ হয়ে উঠে, তার শত্রুর অভাব থাকে না।
কৃপণতা সকল বদভ্যাসের সম্মিলিত রুপ। এটা এমনি এক লাগাম যা দ্বারা যে কোন অন্যায়ের দিকে টেনে নেওয়া চলে।
যে মানুষ যত বেশী সত্য গোপন করতে পারে সে তত বেশী সৎ-চরিত্রবান।
যদি আলোচিত হতে চাও, সমালোচনা কে ভয় করো না- মনে রেখো সমালোচনাও এক প্রকার আলোচনা।
অন্ধকারে যে বাস করে মৃদু আলোতে তাহার চোখ ঝলসাইয়া যায়।
সফল হওয়ার উপায় কী জানি না, কিন্তু ব্যর্থ হওয়ার চাবিকাঠি হচ্ছে সবাইকে খুশি করার চেষ্টা করা।
সব মানুষের জীবনেই অপূর্ণতা থাকবে। অতি পরিপূর্ণ যে মানুষ তাকে জিজ্ঞেস করলে সে ও অতি দুঃখের সঙ্গে তার অপূর্ণতার কথা বলবে। অপূর্ণতা থাকে না শুধু বড় বড় সাধক ও মহা পুরুষদের।
সংসারে কারো ওপর ভরসা করো না, নিজের হাত এবং পায়ের ওপর ভরসা করতে শেখো।
বেশি যারা ভাবে তারা জীবনকে উপভোগ করতে পারে না।
জীবনে একটি দিন চলে যাওয়া মানে আয়ু হ্রাস পাওয়া কাজেই প্রতিটি দিনকে অর্থবহ করে তোলা উচিত।
যদি ভালোভাবে বাচতে চাও তা হলে সমস্যাকে তুচ্ছজ্ঞান করতে হবে, আর্শীবাদকে গণ্য করতে হবে।
জীবনে দুটি দুঃখ আছে। একটি হল তোমার ইচ্ছা অপুর্ণ থাকা, অন্যটি হল ইচ্ছা পুর্ণ হলে আরেকটির প্রত্যাশা করা।
জীবনের সব থেকে ভালো বন্ধু হল আয়না, কারন আমি যখন কাঁদি তখন সে হাঁসে না।
নিজেকে নিয়ন্ত্রণ কর। তারপর অন্যকে অনুশাসন কর। নিজে নিয়ন্ত্রিত হলে অন্যকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করাই কঠিন।
মনের বাসনাকে দূরীভূত করা উচিত নয়। এই বাসনাগুলোকে গানের গুঞ্জনের মতো কাজে লাগানো উচিত।
ঋণ, অগ্নি ও ব্যাধির শেষ রাখতে নেই, কারণ তারা আবার বেড়ে যেতে পারে।
সকলেই দণ্ডকে ভয় করে, জীবন সকলের প্রিয়। সুতরাং নিজের সাথে তুলনা করে কাকেও প্রহার করবে না কিংবা আঘাত করবে না।
কাউকে কটু কথা বলবে না। কারণ সে-ও কটু প্রতু্ত্তর দিতে পারে। উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় তোমার জন্যেও কষ্টদায়ক হবে। দন্ডের প্রতিদন্ড তোমাকেও স্পর্শ করবে। ।